যেসকল যন্ত্র নেটওয়ার্ক দ্বারা একসাথে যুক্ত থাকে যেমন কম্পিউটার অথবা মোবাইল ; এসব যন্ত্র ব্যবহার করে যখন কোন অপরাধ করা হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বলে।যারা এধরণের অপরাধের সাথে যুক্ত থাকে তাদের সাইবার অপরাধী বলে।
ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল যূগের সাথে সাথে ইন্টারনেটে অপরাধের সংখ্যা আরো দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু এ ধরণের অপরাধ যেকোন দূরবর্তী অবস্থান থেকে করা যেতে পারে উদহারণস্বরূপ যেকোন দেশ ,তাই বেশিরভাগ অপরাধী সাইবার ক্রাইমকে বেছে নিচ্ছে।কেননা এখানে ধরা পড়বার এবং শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
সাধারণত ফিসিং ,হ্যাকিং,সাইবার-নির্যাতন,পরিচয় চুরি করা,স্প্যামিং এধরণের অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়।এখন আমরা এইসব নিয়ে আলোচনা করব।
সাইবার ক্রাইমের প্রকারভেদ
ফিশিং-
ফিশিং হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যা ব্যবহার করে ইউজারের ব্যক্তিগত অথবা স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়।এগুলো হতে পারে ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য।
সাইবার বুলিং-
সাইবার বুলিং বা সাইবার নির্যাতন হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে কাউকে অপমান করা ,হুমকি দেয় অথবা হয়রানি করা। এই ধরনের অপরাধ ইমেইল অথবা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সাধারণত হয়ে থাকে।
পরিচয় চুরি করা-
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স চুরি করার পদ্ধতি।এসকল তথ্য দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয় অথবা ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়
হ্যাকিং-
হ্যাকিং বলতে সে সকল কার্যক্রমকে বোঝানো হয় যার দ্বারা আপনার সিস্টেমে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা হয়।
কিভাবে সাইবার ক্রাইমকে প্রতিরোধ করবো?
সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে আপনার স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বিচার করতে হবে যে কি কি করলে আপনি এ ধরনের অপরাধের শিকার হতে পারেন।যদিও অপরাধের প্রকারভেদ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া উচিত,এখানে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেয়া হল।
কখনোই অবিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে গান ভিডিও ডাউনলোড করবেন না। প্রায়ই এসব ফাইলের সাথে র্যানসমওয়্যার অথবা ট্রোজান এধরণের ম্যালওয়্যার লুকানো থাকে।
অজানা কোন ইমেইলের লিংকে কখনোই ক্লিক করবেন না। কারণ এগুলোর দ্বারা আপনাকে ফিশিং ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করতে পারে।
সন্দেহজনক ইমেইল থেকে কখনো ফাইল ডাউনলোড করবেন না।অপ্রাধীরা সাধারণত “ঘরে বসে কাজ করুন এবং উপার্জন করুন” , “বন্ধু চাই” এ ধরণের সাবজেক্ট যুক্ত মেইল পাঠায় ।
আপনার ইউজার নেইম অথবা পাসওয়ার্ড কখনোই কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এমনকি আপন বন্ধুর সাথেও না।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।এটা হতে পারে আলফা নিউমেরিক ক্যারেক্টারের জেকন বিন্যাস।
কিভাবে সাইবার ক্রাইম বন্ধ করা যায়?
সাইবার ক্রাইম বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব কিন্তু আপনিও কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন এ ধরণের অপরাধ প্রতিহত করার জন্য। সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে উপরের পরামর্শগুলো মেনে চলা।যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য জানানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে করে এদের সংখ্যা কমানো যায়। প্রায়ই দেখা যায় অজ্ঞতা অথবা অবহেলার কারণে অনেকেই এ ধরনের অপরাধের শিকার হচ্ছেন এবং নিজের অথাব সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে ।
আপনার পিসি অথবা মোবাইল ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি ম্যালওয়্যার ব্যবহার করুন। আপনার পিসিতে লুকানো ভাইরাস বা রুটকিট সনাক্ত করা খুব কঠিন, যা কেবল একটি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেই করা যেতে পারে। রিভ অ্যান্টিভাইরাস এর শক্তিশালী ভাইরাস সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য আছে যা Trojan, worms, Ransomware এর মত হুমকি থেকে আপনার পিসিকে রক্ষা করে।