ট্রেড লাইসেন্স
সিটি কর্পোরেশন বিধি, ২০১৯ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্সের সূচনা ঘটে। এই লাইসেন্স উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। সিটি কর্পোরেশন বা সিটি পরিষদ এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে থাকে। ট্রেড লাইসেন্স বিশেষভাবে শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তির নামে প্রদান করা হয় এবং এটা কোনোভাবে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এই লাইসেন্স ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারবে না। নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স আঞ্চলিক কর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদান করে থাকেন। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি লাইসেন্স ফরমে উল্লেখিত যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
নতুন ট্রেড লাইসেন্স করতে গিয়ে অনলাইন ব্যাবসায় জরিত সবাই ই কম বেশি এই সমস্যায় পড়েন৷ কারন বাংলাদেশ গ্যাজেট এ ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা বলতে কোন ক্যাটাগরি নেই।
কিন্তু আপনার যেকোন ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।
১৷ আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেস হয়ে থাকেন, যেমন আজকেরডিল বা দারাজ, অর্থাৎ আপনি অন্যের পন্য নিজের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে বিক্রি করেন তাহলে আপনি আপনার ব্যবসাকে “আইটি ব্যবসা” (IT Business) হিসেবে নিবন্ধন করাতে পারেন।
২। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন পন্য বা ক্যাটাগরি নিয়ে ব্যবসা করে থাকেন যেমন ধরুন আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েদের ড্রেস বিক্রি করছেন সেক্ষেত্রে “বুটিক শপ” হিসেবে নিবন্ধন করুন। আর যদি নিজের ব্র্যান্ডের ফ্যাশন পন্য নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে “ফ্যাশন হাউজ” হিসেবে নিবন্ধন করুন।
কারন এক্ষেত্রে আপনি আইটি ব্যবসা করছেন না বরং ফেসবুককে বা ওয়েবসাইটকে বিক্রির একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন।