ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং হলাে বর্তমান সময়ের বিপণন দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী একটি ক্ষেত্র। সৃজনশীল ভাবনা ও অভিনব বাজারজাতকরণ কৌশল সফলতার পথে আলাের বিচ্ছুরণ ঘটায়। আজকাল উদ্ভাবিত ধারণা বা মাধ্যমকে সৃজনশীলতা প্রয়ােগ করে নতুনভাবে কাজে লাগানােই এখন বেশি কার্যকর হয়ে উঠছে। ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমনই। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য সফটওয়্যার আবিষ্কারের কারণে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং প্রয়ােগে নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফলে দিন দিন ব্যাপ্তি হচ্ছে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংয়ের পরিধি। ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এক কথায় শেষ করার বিষয় নয়। এখানে শেষ কথা বলেও কিছু নেই। ক্রিয়েটিভিটি মানেই যেখানে নতুন কিছু সৃষ্টি, সেখানে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং মানেই তাে নতুন নতুন মার্কেটিং আইডিয়ার সমন্বয়।
একসময় ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং বলতে সৃজনশীল শিল্প বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (ইন্টেকচুয়াল প্রপার্টি) বিক্রির প্রক্রিয়াকে বােঝানাে হতাে। যেমন ছবি বা ফটোগ্রাফি, চিত্র বা নকশা, ডিজাইন, গানের কথা বা লিরিক, সুর, গবেষণা কর্ম, স্থাপত্য নকশা, ভাস্কর্য—এসব সৃজনশীল শিল্প বাজারজাত করা ও বিপণনকে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং বলা হতাে। ১৮২০ সালের শুরুর দিকে পণ্য বাণিজ্যিকীকরণ থেকেই মূলত এর শুরু। এই সময় থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক ধারণা বা সৃজনশীল আইডিয়া বা সৃষ্টিশীল পণ্যের ব্যাপক বাজারজাতকরণ শুরু হলে এই ধারণার জন্ম হয়।
এখন ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ বাজারজাতকরণ পদ্ধতিতে সৃজনশীলতা প্রয়ােগ করাই ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং, যার বাংলা সৃজনশীল বাজারজাতকরণ।
ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং
যখন কোনাে মার্কেটিং কার্যক্রমে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া বা ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ব্যবহার করা হবে, তখন সেটাকে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং বলা হবে। সহজ কথায় মার্কেটিংয়ে ক্রিয়েটিভিটি প্রয়ােগ করাই হলাে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং। তবে আজকাল ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংয়ে ডিজিটাল টেকনােলজির প্রয়ােগটা বেশি।
লেখা: জাহাঙ্গীর আলম শোভন