কো-ওয়ার্কিং স্পেস আর ঢাকা

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে চলেতে হবে। কো-ওয়ার্কিং স্পেস ধারনাটি বাংলাদেশে পরিচিত না হলেও বিশ্বের অনেক দেশে বেশ পরিচিত। এ ধারনাটি বাংলাদেশের জন্য খুবেই উপযোগী। ইতোমধ্যেই আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি কো-ওয়ার্কিং স্পেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সবচেয়ে খুশির বিষয় হল সরকারও কো-ওয়ার্কিং স্পেস নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রতিটা জেলায় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য “ফ্রি ল্যাব” তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সরকার, যা বিশেষ ধরনের কো-ওয়ার্কিং স্পেস হিসেবে বিবেচিত ।

আমাদের দেশের ব্যবসায়ী, নতুন উদ্যোক্তা, পেশাজীবীর বড় একটা অংশ সঠিক পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও আধুনিক সুযোগ সুবিধার দরুন তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারছে না। কো- ওয়ার্কিং স্পেস হতে পারে এই সকল সমস্যার উৎকৃষ্ট সমাধান। কেননা কো-ওয়ার্কিং স্পেসে ব্যবসায়ী, নতুন উদ্যোক্তা, পেশাজিবীরা আধুনিক সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন কেবল মাত্র মাসিক ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে।

কো-ওয়ার্কিং স্পেস

কো-ওয়ার্কিংস্পেস মানে, একই স্থানে নানা শ্রেণীর ব্যবসায়িক বা পেশাগত মানুষের স্থান ভাগাভাগি করে কর্মউদ্যোগ প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করা। অর্থাৎ,বৃহৎ কর্মক্ষেত্রকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে কার্যসিদ্ধ প্রক্রিয়াই হচ্ছে কো-ওয়ার্কিং স্পেস।

“বনিক”

“বনিক” একটি কো-ওয়ারকিং স্পেস। ঢাকার মেরুল বাড্ডায় এটি অবস্থিত। ঢাকার যে কোন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই “বনিকে” পৌঁছানো সম্ভব। হাতির ঝিলের পাশেই দৃষ্টিনন্দন বিশাল এই কো-ওয়ার্কিং স্পেসে আপনি পাচ্ছেন পেশাগত কাজ করার আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। কি নেই এখানে ? ২৪ ঘণ্টা হাইস্পিড নেটওয়ার্ক, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, ২৪x৭ অফিস অ্যাক্সেস, জেনারটর ব্যাকআপ, আধুনিক ডেকোরেশন, হ্যাং আউট জোন, ইউটিউব স্টুডিও , ওয়ার্শপ এবং সেমিনার রুম ইত্যাদি। এছাড়াও বিনোদনের জন্য রয়েছে স্পোর্টের সুবিধা।

বণিকের সেবা সমূহঃ

বণিক কো-ওয়ার্কিং স্পেস আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মোট ৬ টি প্যাকেজ। প্রতিটা প্যাকেজ সাজানো হয়েছে আপনাদের কথা বিবেচনা করে।

  • বণিক সংযোগ বা বনিক মেম্বেরশিপ ।
  • বণিক ভার্চুয়াল অফিস।
  • বণিক ইউকেন্ডার
  • বণিক হট ডেস্ক।
  • বণিক ডেডিকেটেড ডেস্ক।
  • বণিক প্রাইভেট অফিস।

এছাড়াও আপনি চাইলে আতিরিক্ত আন্যান্ন যে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারেনঃ
(চার্জ প্রযোজ্য)

  • মেইল সার্ভিস সুবিধা (মাসিক) ২৫০ টাকা।
  • রিসিপসন সুবিধা (মাসিক) ৩,০০০ টাকা।
  • কল সেন্টার এজেন্ট (প্রতি শিফট) ৫,০০০ টাকা।
  • ডেডিকেটেড ফোন (মাসিক) ২৫০ টাকা।
  • ভার্চুয়াল এজেন্ট (মাসিক) ৩,০০০ টাকা।
  • লকার সার্ভিস (মাসিক) ৫০০ টাকা।
  • পার্সোনাল স্টোরেজ (মাসিক) ১,০০০ টাকা।
  • ইউটিউব স্টুডিও (প্রতি শিফট/ ৩ ঘণ্টা) ৩০০ টাকা।
  • ডিজিটাল ক্যামারা (প্রতি শিফট/ ৩ ঘণ্টা) ১,০০০ টাকা।
  • ভেনচার ক্যাপিটাল সাপোর্ট
  • ভাড়াটিয়া চুক্তি (বার্ষিক) ৬,০০০ টাকা।

পৃথিবীর অন্যতম বাস্ততম নগরী আমাদের এই ঢাকা। যেকোনো কর্মোদ্যোগ প্রচেষ্টা গ্রহন কালে আমাদের নানাদিক বিবেচনা করতে হয়। আমরা কোন ব্যবসায়িক বা পেশাগত পরিকল্পনা করলে প্রথমেই অর্থনৈতিক বিষয়টা আসে। এছাড়া আধুনিক সুযোগ সুবিধা, নেটয়ার্কিং ইত্যাদি বিষয়াদি তো আছেই। সেখান থেকে বিবেচনা করলে কো-ওয়ার্কিং স্পেস ঢাকা নগরীর জন্য অত্যান্ত উপযোগী। কো-ওয়ার্কিং স্পেস আপনার জন্য একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ব্যবসায়িক পরিচিতি অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং খুবাই তাড়াতাড়ি করতে পারছেন। কেননা একই স্থানে যখন অনেক শ্রেণীর লোকেরা উপস্থিত থাকবেন তখন ব্যবসা বা পেশাগত পরিচিতি খুব দ্রুত ছড়াতে থাকবে।

এছাড়া আলাদাভাবে কোন অফিস নিয়ে আপনি ব্যবসা বা পেশাগত কাজ করতে চাইলে আপনাকে অফিস ভাড়া নিতে হবে, অগ্রিম সেলামী প্রদান করতে হবে, ফার্নিচার, ডেকোরেশন, আধুনিক সকল ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা করতে হবে, এমন কি পিয়ন, দারোয়ানের বাবস্থাও আপনাকেই করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন। কিন্তু একটা কো- ওয়ার্কিং স্পেসে আপনি সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন কেবল মাত্র মাসিক ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে।

একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেস হতে পারে আপনার স্বপ্ন পুরনের সর্বত্তম সঙ্গি। আর বণিক সেই বার্তাই আপনাকে জানান দিচ্ছে।

লিখেছেন ঃ রুমানা রশিদ মৌ