সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ (Attraction)
দশজন যেভাবে মার্কেটিং করছে, আপনি যদি সে পথে না গিয়ে ভিন্ন পথে অগ্রসর হন, নিশ্চয়ই আপনারটি সহজে চোখে পড়বে। অনেক আয়ােজন করে। যে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, সেটা আপনি সহজসাধ্য একটি উদ্যোগের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।
ধরুন, সবাই বড় বড় বিলবাের্ড লাগিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে স্বাগত জানালো। আর একজন সৃজনশীলতা দিয়ে আস্ত একটা বাঘের পুতুল বসিয়ে দিয়েছে বাের্ডের গায়ে, সেটা নিশ্চয়ই আলাদা ও দৃষ্টি আকর্ষক হবে। | ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং কেন, কীভাবে সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে? যদি শুধু পণ্যের ছবি আর কিছু গুণাগুণ লিখে দিত তবে এই বিজ্ঞাপনটা সেভাবে আমাদের চোখে পড়ত না। অথবা বাসায় গিয়েও বিজ্ঞাপনটির কথা মনে থাকত না। আমি ছবিতে দেখা বিজ্ঞাপনটির কথা বলছি।।
আপনার চাওয়া তাে এটাই যে, আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপনটি লােকে দেখুক এবং আপনার ব্র্যান্ডের নামসহ সেটি মনে রাখুক। আর যারা মনে রাখবে, তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতে একটা অংশ হয়তাে আপনার ক্রেতা হবে।
অল্প খরচে বেশি সম্পৃক্ততা (Connectivity)
যখন অন্যদের মতাে একই ধরনের মার্কেটিং করতে হয় তখন নিশ্চয়ই সেটা পরিমাণে বেশি করতে হয়। যে কোনাে বিজ্ঞাপন বার বার প্রচার করতে হয়। তা না হলে চোখে পড়ে না। ক্রিয়েটিভ একটা বিজ্ঞাপন অন্য বিজ্ঞাপনের মতাে বার বার না দেখালেও দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারে। সেটা যদি সামাজিক মাধ্যমে হয় তাহলে মানুষ তাতে প্রতিক্রিয়াও দেখায়। বরং এতে বেশি সম্পৃক্ততা তৈরি হয়। এমনকি সুন্দর ও ব্যতিক্রম কিছু দেখলে লাইক ও শেয়ার করে। এতে করে প্রচার প্রসার বেশি হয়। একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের প্রথম সার্থকতা হলাে তার ব্যাপক প্রসার ও প্রচার। ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংয়ের
আরেকটা সুবিধা—এতে ছােটো একটি নতুন আইডিয়া বের করতে পারলে সেটা যদি মার্কেটে খুব চলে তবে অনেক বড় ফল পাওয়া যায়। যেমন কিছুদিন আগে ভারতীয় চ্যানেলগুলােতে মানুষের বদলে সাদা অ্যানিমেশন দিয়ে কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছিল ভােডাফোন।
ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডিং ও ইউনিক আইডেন্টিটি (Unique Identity)
ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ক্রিয়েটিভ পদ্ধতি খুব ফলদায়ক। এতে করে মানুষের মনে কোম্পানি সম্পর্কে আলাদা একটা ধারণা তৈরি হয়। আর দশটা গতানুগতিক কোম্পানির মতাে আপনার কোম্পানিকে ভাববে না কেউ। এতে করে একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি ও অনন্য পরিচিতি (ইউনিক আইডেন্টিটি) তৈরি হবে, যা আপনার ব্যবসার সুনাম ও ব্যবসার প্রসারে সহায়ক হবে।
লেখা: জাহাঙ্গীর আলম শোভন