প্রােটোটাইপ (Prototype)
একটি ক্যাটাগরির সকল বস্তু সমান নয়। মানে ক্যাটাগরির নাম বললে সেগুলাের ছবি ভেসে উঠবে না। কিছু কিছু বস্তু ক্যাটাগরিটির সাথে বেশি সম্পৃক্ত। সেগুলাে ক্যাটাগরিকে প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন আমরা যদি পােশাক বলি তাহলে শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, ফ্রগ, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া এগুলাে চলে।
আসবে। কিন্তু স্যান্ডােগেঞ্জি পােশাকের উদাহরণ হিসেবে আসবে না। সহজ কথায় একই শ্রেণির মাঝে অবস্থিত একাধিক বস্তুর মাঝে যেটি ঐ শ্রেণির সর্বাধিক বৈশিষ্ট্য বহন করে ও অধিকাংশ সাধারণ ক্ষেত্রে ওই শ্রেণির উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে প্রােটোটাইপ বলে।
তাহলে পণ্য বা সেবার প্রতিনিধিত্বকারী সে প্রােটোটাইপটি পণ্যের বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবে। ১৯৭০-এর দশকে এলেয়ানর রশ এবং। অন্যান্যরা প্রােটোটাইপ তত্ত্বের অবতারণা করেন। শুধু বাজারজাতকরণের জন্য পণ্য উন্নয়ন নয় এই ধারণাটি জীববিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য (Other)
এ ছাড়া আমরা দেখি যে, মাঝে মধ্যে অনলাইন ওয়েবসাইটে কিংবা ফেসবুক পেজে কোম্পানিগুলাে বিভিন্নরকমের প্রতিযােগিতা, ভােটিং, সেলফি কনটেস্টের আয়ােজন করে থাকে। এভাবেও পণ্যকে প্রসার করা হয়। এখানে বলে রাখা ভালাে, যে কোনাে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল প্রয়ােগের জন্য ড্যাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার কাছে মার্কেট ড্যাটা না থাকলে আপনি টার্গেট কাস্টমার সেট করতে পারবেন না। তাই মার্কেট থেকে যেমন আপনি ড্যাটা কালেক্ট করতে পারেন, তেমনি প্রতিবার আপনি যখন বিজ্ঞাপন দেবেন তখন কারা ফোন দিল, মেসেজ দিল, ই-মেইল করল, ইনবক্স করল, কারা পণ্যটি কিনল, কারা কিনল না তাদের ড্যাটা আপনার কাছে থাকা চাই। এতে করে সুবিধা হবে। আপনি রি-মার্কেটিং করতে পারবেন। সাধারণত প্রি-মার্কেটিংয়ে চেয়ে রি-মার্কেটিংয়ে ভালাে সাড়া পাওয়া যায়। তাছাড়া যে কোনাে ব্যবসার টিকে থাকার ভিত্তি হলাে লয়্যাল কাস্টমার এবং রিটার্ন কাস্টমার। কারণ রিটার্ন বা রেগুলার কাস্টমার সব সময় কম দামাদামি করেন এবং কম সময়ের মধ্যে পণ্য কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাই এ ধরনের ক্রেতা যে কোনাে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদস্বরূপ। আর তাদেরকে ফিরে পেতে ও সংযুক্ত রাখতে আপনার ড্যাটা ও রি-মার্কেটিং লাগবেই লাগবে।
আসলে সৃজনশীলতার কোনাে গ্রামার নেই। তাই এটা প্রয়ােগের জন্য কোনাে ক্ষেত্রবিশেষ বিধি-বিধানের প্রশ্ন ওঠে না। শুধু দেখতে হবে যাদের জন্য প্রয়ােগ করছেন তাদের একটা বড়াে অংশ বিষয়টা গ্রহণ করবে কিনা।
লেখা: জাহাঙ্গীর আলম শোভন